শুক্রাণু বৃদ্ধি করে যে ১০ টি খাবার
মানবদেহে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুনগতমান কেমন থাকা উচিত তা আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু এ বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা আমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরি। সাধারণত কিছু পুষ্টি জাতীয় খাবারের অভাবে শুক্রাণুর ঘাটতি দেখা যায় ,আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ককে অধিক যৌন মিলনের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে শরীরে অনেক রোগের কারণে শুক্রাণুর ঘাটতি দেখা যায়। তাই এসব সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হলে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ও শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে।
আমরা এখন ,শুক্রাণু বৃদ্বিতে ভূমিকা পালন করে এমন ১০ টি খাবার নিয়ে আলোচনা করবো।
শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার - ডিম
- কলা
- আখরোট
- সি ফুড
- ডার্ক চকলেট
- রসুন
- সবুজ শাকসবজি
- জিংক জাতীয় খাবার
- ডালিম
- অশ্বগন্ধা
ডিম
শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ডিমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের মধ্যে অনেক পুষ্টি বিদ্যমান ,তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ই ও প্রোটিন। ডিম একটি সুষম খাদ্যের উপাদান। তাই আমরা বলতে পারি যে ,শুক্রাণু বৃদ্ধিতে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম।
কলা
শুক্রাণু সংখ্যা বাড়াতে কলার ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ,সি ,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। যা শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া কলা দেহের রক্ত সঞ্চালন ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্বিতে সাহায্য করে। হাইপারটেনশন দূর করতে ও কলা ভূমিকা রাখে। কারন হাইপারটেনশন এ শুক্রাণু কমে যায়। তাই আমরা নির্ধিধায় বলতে পারি যে শুক্রাণু বৃদ্বিতে কলা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আখরোট
আখরোট হলো একটি উচ্ছক্ষমতা সম্পূর্ণ খাবার ,যা সুপারফুড হিসেবেও পরিচিত। আখরোটে ওমেগা ফ্যাটি এসিড ও অন্যান্ন পুষ্টি উপাদান থাকায় শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে। সুপারফুড এর উপাদান হওয়ার কারনে ইহাকে আমরা শুক্রাণুর জীবনীশক্তি বলতে পারি।
সি ফুড
সি ফুড হলো ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ ও সামুদ্রিক শেল ফিশ ,ষ্টার ফিশ। এসব খাবারে শুক্রাণুর গুনাগুন ও উর্বরতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। ওমেগা -ফ্যাটি এসিড শুক্রাণুকে গতিশীল ও শুক্রাণুর কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার ,যা ছোট বড় সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। ডার্ক চকলেট হলো প্রচুর পরিমান কোকো বিনস ও এন্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা পরিপূর্ন। এছাড়া ডার্ক চকলেট এ রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা শুক্রাণুর উৎপাদন ও গুনাগুন বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত পরিমাণমতো ডার্ক চকলেট খাওয়া উচিত।
রসুন
রসুন শুক্রাণু উৎপাদনে অনেক বেশি সাহায্য করে। রসুন পুরুষের যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত করে যাতে যৌনাঙ্গ সংকুচিত হয় কত না হয়ে যায়। যৌনাঙ্গের কোষগুলো ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে রসুনে সিলেনিয়াম নামক উৎসেচক শুক্রাণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ফোলিক এসিড ,মিনারেল ও বিভিন্ন উপাদান যা আমাদের শুক্রাণু উৎপাদনে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের খাদ্যাভাসে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।
জিংক জাতীয় খাবার
জিংক জাতীয় সকল খাবার শুক্রাণুর উৎপাদন ও বৃদ্ধির জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জিঙ্কের প্রধান উৎস হলো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তাছাড়া অন্নান্য কিছু খাদ্য থেকে আমরা জিংক পেতে পারি। তাই জিংক জাতীয় খাদ্য আমরা নিয়মিত গ্রহণ করবো।
ডালিম
যৌন ক্ষমতা ও শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে ডালিমের ভূমিকা অপরিসীম। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমান এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শুক্রাণুর মান ও গুনাগুন ঠিক রাখে। অপরদিকে ডালিম একটু সুন্নাতী খাবার মুসলিমদের জন্য। তাই আমরপুষ্টিমান বজায় রাখতে ডালিম খাবো।
অশ্বগন্ধা
প্রাচীন কাল থেকেই অশ্বগন্ধা অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। কিন্তু অশ্বগন্ধা পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি ও ইরেকটাইল ডিসফাংশনের অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের মাঝে মাঝে অশ্বগন্ধা মিশ্রিত শরবত খেতে হবে। যা আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
সর্বশেষ কথা
সর্বোপুরি যা না বললেই নয় ,আমরা আমাদের সুসাস্থ নিয়ে অনেক বেশি অলসতা করি। যা আমাদের জন্য পরবর্তীতে অনেক বড় ধরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে আমাদের সুসাস্থ নিয়ে। আর একটি কথা হলো "আমরা ঔষধ কে খাদ্য বানাবো না বরং খাদ্য কে ঔষধ বানাবো" তাই এটা আমাদের মেনে চলতে হবে।
0 Comments