সকালের নাস্তায় সেরা ১০খাবার
সারাদিনে শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান জোগাতে সকালের নাস্তা খাওয়াটা বেশ জরুরী। আমরা সকালে ভরপেট নাস্তা করলে দুপুরের আগে আমাদের খুব বেশি খিদে লাগে না, কারণে-অকরণে এটা-সেটা খাওয়ারও তেমন বেশি দরকার হয়না। স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা হতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ক্যালসিয়াম এবং আঁশ জাতীয় খাবারের ভালো উৎস। খেতে পারেন বিভিন্ন প্রোটিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের দৈনন্দিন সকালের সেরা ১০ খাবার যেগুলো রাখতে পারেন ব্রেকফাস্টে।
স্ট্রওবেরি জাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফলগুলো অনেক বেশি পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। বেরি জাতীয় ফলগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, যা আমাদের মানবদেহের কোষকে সুস্থ রাখে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। আমাদের দেহের অ্যানথোসায়োনেনস উপাদানের জন্য রক্তের ইনসুলিন ভারসাম্য ঠিক রাখে ও আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে ।
ওটমিল
সারাদিনের এনার্জি আপনারা পরিমাণমতো ওটমিল খেতে পারেন। কারণ, ওটসে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন,পটাশিয়াম , ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। আপনারা ওটস খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে। আপনাদের ওজন কমাতে এবং কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। তবে সতর্ক থাকবেন কোনো ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটমিল খাবেন না। ওটস খিচুড়িও নাস্তা হিসেবে অনেক টেস্টি ও চমৎকার।
গ্রিন টির কার্যকারিতা
গ্রিন টি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ,পটাশিয়াম , বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন। গ্রিন টির উপকারিতা অনেক বেশি । এটি আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে। এছাড়া আপনাদের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে গ্রিন টির জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টি আপনাদের বার্ধক্য এবং কপালের বলিরেখা থেকে রক্ষা করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
কলা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পুষ্টি উপাদান হিসেবে কলার ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাস্তায় যদি কলা না থাকে তা হলে সে নাস্তায় একটা অপূর্ণতা থেকেই যায়। কলায় এমন কিছু পুষ্টি রোয়েসে যা আমাদের দৈহিক ওহ মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে। আপনার চেহেরা কে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত সকালের নাস্তায় কলা রাখতে হবে। কলাতে রোয়েসে ক্যালোরি,পটাসিয়াম,জিঙ্ক ,আয়রন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
কাঠবাদাম
আমরা জানি যে ভিটামিন ও খনিজে ভরা কাঠবাদাম। কাঠবাদাম পানিতে ভেজালে পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। কাঠবাদাম হজমশক্তি বাড়ায় ও ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।আমরা জানি যে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর সকালে ৫-১০টি কাঠবাদাম খেলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সারাদিন ০নেক বেশি রুচিও বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঠবাদামের বাদামি আবরণে ট্যানিন নামের উপাদান অনেক বেশি থাকে, যা পুষ্টি শোষণ করে।কাঠবাদাম ভেজানো হলে সহজে খোসা খুলে যায় এবং সহজে পুষ্টি বের হয়।
ফল
আমরা জানি যে ,সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফলমূল। সকালে নাস্তায় আপেল, কমলা, আঙুর অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। ভিটামিন সম্পূর্ণ পেতে আমাদের নিয়মিত তাজা ও কাঁচা ফল খোসাসহ খাওয়াই ভালো। আমরা চাইলে নিয়মিত ফলমূল দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারি
ইস্ট ছাড়া রুটি কার্যকারিতা
আমরা অনেকেই নাস্তায় আটার রুটি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি । এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। ইস্ট ছাড়া গমের তৈরি রুটিতে আছে বি১, বি২, বি৩ সহ ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা যদি নিয়মিত গমের তৈরি রুটি খাই তাহলে রক্তচাপও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এটি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ, দৃষ্টিশক্তি ভালো এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। কারণ এটি আমাদের রক্তের শর্করা ঠিক রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। এছাড়া ক্লান্তি দূর করতেও আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল,মসৃণ এবং আকর্ষণীয় করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0 Comments