প্রচন্ড গরমে শরীর সুস্থ রাখার জন্য কি কি করণীয়
আমাদের দেশে মূলত দুটি ঋতুর প্রভাব একটু বেশি তা হলো গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল। কারো কাছে শীতকাল পছন্দনীয়, আবার কারো কাছে গ্রীষ্মকাল পছন্দনীয়। গ্রীষ্মকালে আম ,কাঁঠাল ,লিচু ও অন্নান্য ফল খেতে অনেক মজা লাগে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে গরমটা অনেক বেশি খারাপ লাগে ,যা সবার জন্য অসহনীয়। গরমে আমরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি হলো পানি ,লেবুর শরবত ও অন্নান্য জুস জাতীয় ড্রিঙ্কস। প্রচন্ড গরমে শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের যা করণীয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো
যা যা করণীয় :
প্রচুর পরিমান পানি পান করা
শাক-সবজি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
সুতি ও পাতলা কাপড় পড়ালেবু ও বেলের শরবত খাওয়া
ভাজা পোড়া খাবার না খাওয়া
দই ও চিড়া খাওয়া
অতিরিক্ত রোদে ছাতা ব্যবহার করা
নিয়মিত গোসল করা
এই গরমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রতিদিন অনেক পানি ও লবন বের হয়ে যায়। আর আমরা গরমে সবচেয়ে পানি একটু বেশি পরিমান পান করতে পছন্দ করি। আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি হলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে হলো ডিহাইড্রেশন ও আমাদের পাকস্থলীর পরিপাক কাজে পানির ভূমিকা অপরিসীম। তাই আমরা গরমে প্রতিদিন ৫থেকে ৬ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করবো।
শাক-সবজি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
গরমে শাকসবজি জাতীয় খাবার দেহের জন্য খুবই উপকারী। শাকসবজিতে প্রচুর পরিমান আয়রন ও মিনারেল থাকে। যা দেহের আয়রন ও মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে।
সুতি ও পাতলা কাপড় পড়া
গরমে সবাই একটু আরামদায়ক কাপড় পড়তে বেশি পছন্দ করে। কারন তাপমাত্রা তখন এতটাই গরম থাকে যে ,পাতলা ও সুতি জাতীয় কাপড় ছাড়া অন্য কাপড় পরিধান করলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা অন্য দিকে আরামদায়ক আর চেয়ে অনেক বেশি কষ্টকর। তাই গরমে সবাই পাতলা ও সুতি কাপড় পরিধান করে।
লেবু ও বেলের শরবত খাওয়া
গরমে শরীর কে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে ,আমাদের নিয়মিত লেবু ও বেলের শরবত পান করা। কারন আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে লেবুর শরবত অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে ,অপরদিকে বেলের শরবত আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখে। ভিটামিন সি ও মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে। তাই আমাদের নিয়মিত পরিমাণমতো লেবু ও বেলের শরবত খাওয়া উচিত।
ভাজা পোড়া খাবার না খাওয়া
অতিরিক্ত গরমে আমাদের দেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর খাবার গুলোর মধ্যে একটি হলো ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া। কারন গরমে আমাদের রসালো খাবার খাওয়ার প্রয়োজন ,কিন্তু আমরা জখন ভাজা পোড়া খাবার খাই ,তখন গরমে আমাদের দেহের মধ্যে এসিডিটি তৈরী হয়। তাই ভাজা পোড়া খাবার না খাওয়াই উত্তম।
দই ও চিড়া খাওয়া
দই ও চিড়া আমাদের দেহের জন্য একটি স্বাস্থকর খাবার। কারন গরমে আমরা সবাই ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। রেফ্রিজারেটরে রাখা দই ও পানিতে ভিজানো চিড়া একসাথে মিশিয়ে যখন খাই ,তখন তা অনেক সুস্বাদু ও স্বাস্থকর। তাই অতিরিক্ত গরমে দই ও চিড়া অনেক উপকারী আমাদের দেহের জন্য।
অতিরিক্ত রোদে ছাতা ব্যবহার করা
অতিরিক্ত রোদে আমরা যখন ঘরের বাহিরে ছাতা ছাড়া বের হয় ,তখন আমাদের শরীর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পরিমানে ঘাম বের হয়। যা আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন ও অনেক খনিজ এর অভাব দেখা দেয়। অন্য দিকে যা আমাদের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর। তাই আমাদের রোদে ছাতা ছাড়া বাহিরে বের হওয়া ঠিক না।
নিয়মিত গোসল করা
নিয়মিত গোসল আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন গোসল আমাদের শরীর ও মন দুটোকেই সুন্দর রাখে। কারন আমাদের শরীরে যখন একটু নোংরা হয়ে যায় তখন সর্বদায় আমাদের শরীর ও মন দুটোয় খারাপ অনুভব করে। যা অনেকটাই অস্বস্তি ও বিব্রতকর। তাই গরমে নিয়মিত গোসল করা আমাদের শরীর কে অনেক সুস্থ রাখে।
সর্বশেষ কথা
পরিশেষে আমরা একটা কথায় বলতে পারি যে ,গরমে সুস্থ থাকার জন্য যে সব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম তা আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এসব বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে মেনে চলতে হবে। কারন একটা কথা আছে যে সাস্থই সকল সুখের মূল। তাই এ বিষয়ে আমাদের কখনোই অবহেলা করা যাবে না।
0 Comments