হার্ট অ্যাটাক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমান বিশ্বে হার্ট এট্যাক খুবই একটা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ছোট ,বড় সকলেই এখন এই রোগের শিকার। মানব দেহের অন্নান্য রোগের তুলনায় ইহা বেশ জটিল প্রকারের রোগঃ ,যাহার ট্রিটমেন্ট ও অনেক ব্যায় সাপেক্ষ। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে গেছে। কারন এই রোগের সার্জারি অনেক বেশি জটিল ,আর আমাদের দেশে অনেক জটিল কিছু সার্জারির জন্য ডাক্তার ও পাওয়া যায় না। তাই ইহা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই অসম্ভব হয়ে গেছে। আর এই রোগটি মূলত আমাদের দেশে অনেক বেশি পরিমানে দেখা যাচ্চে ,আর এর পেছনের কারন হলো আমাদের দেশের খাদের ভেজালের কারনে। সুসাস্থের জন্য অবশ্যই আমাদের ভেজাল মুক্ত ও বিশুদ্ধ খাবার খেতে হবে। আবার একটি অন্যতম কারন হলো আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
হার্ট এট্যাক রোগের লক্ষণ
- বুকে ব্যথা অনুভব করা
- মাথা ঘুরানো বা মাথা ঝিমঝিম করা
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- কারন ছাড়াই শরীর ঘামা
- চলতে ফিরতে বুকে ব্যথা হওয়া
- অল্পতে আতংকিত হওয়া
- ঘাড়ে ব্যথা করা
বুকে ব্যথা অনুভব করা
অল্প পরিশ্রমে যদি আপনার বুকে ব্যথা অনুভব করেন বা কোনো কারন ছাড়াই বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভব করেন।তাহলে তা হার্ট এর রোগের কারন
মাথা ঘুরানো বা মাথা ঝিমঝিম করা
যদি কোনো কারন ব্যাতিত বা অল্প পরিশ্রমে মাথা ঘুরানো বা ঝিম ঝিম করা তাহলে সেটাও হার্ট এর রোগের লক্ষণ। কোনো কারন ব্যাতিত শরীর অনেক হয়ে যায় এভাবে।
শ্বাসকষ্ট হওয়া
শ্বাসকষ্ট খুবই একটা কষ্টদায়ক রোগ ,আমাদের দেশে এরকম রোগির সংখ্যা অনেক বেশি ,মূলত এটা বৃদ্ধ বয়সে হয়ে থাকে। কিন্তু এই রোগ টা এখন খুব অল্প বয়সে হার্ট এর রোগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন এই শ্বাসকষ্ট রোগ টা এখন হার্ট এর রোগের একটা বিশেষ কারন।
কারন ছাড়াই শরীর ঘামা
কোনো কারন ছাড়াই শরীর ঘামাটা আসলেই অনেকটা খারাপ। এটা মূলত হয়ে থাকে যারা পরিশ্রমহীন এবং অলস প্রকৃতির লোক তাদের ক্ষেত্রে। কারন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম বা অল্প পরিমান পরিশ্রম না করিলে আমাদের দেহ অনেকটাই দুর্বল ও নিস্তর হয়ে যায়। তখন শরীরের ওপর একটু প্রভাব পড়লেই অস্বাভাবিক ভাবে ঘাম বের হয়।
চলতে ফিরতে বুকে ব্যথা হওয়া
হার্টের মাংশপেশী সমূহ সচল থাকার জন্য হার্টের মধ্যে রক্ত সরবরাহ হয় দুইটা রক্ত নালীর মাধ্যমে যাকে রাইট এন্ড লেফট করোনারি আর্টারি বলে। এই করোনারি আর্টারি সমূহে ফ্যাট কিংবা চর্বি জমে যদি রক্ত সঞ্চালনে বাধাগ্রস্ত হয়। তখন হাঁটা চলা করলে রক্ত সঞ্চালন অনেক বেশি হয় ,হার্ট তখন সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালাতে অক্ষম হয়ে যায় তখন বুকে হালকা ব্যথা অনুভব করে।
অল্পতে আতংকিত হওয়া
অনেক লোক আছে যারা কিচু সেনসেটিভ জিনিস এড়িয়ে চলে বা দেখতে পারে না ,তারা একটু ভীতু প্রকৃতির হয়। মূলত তাদের হার্ট এই সেনসিটিভ জিনিসটা সহ্য করতে পারে না। এর ফলে অনেকেই হার্ট ব্লক এর সম্মুখীন হয়। তাই অল্প তে আতংকিত হওয়া হার্ট এর রোগের লক্ষণ।
ঘাড়ে ব্যথা করা
ঘাঁড়ে ব্যথা হওয়া টা সাধারণভাবে নেওয়াটা অনেকটাই বোকামির কারন ,মূলত এটা একটা উচ্চ রক্ত চাপের লক্ষণ। আর হার্ট এর প্রধান কারন হলো উচ্ছ রক্ত চাপ ,তাই আমরা বলতে পারি যে ঘাঁড়ে ব্যথা হওয়াটা হার্ট এর রোগের লক্ষণ।
হার্ট এর রোগের প্রতিকার
- ধূমপান থেকে বিরত থাকা
- উচ্ছ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
- নিয়মিত ব্যায়াম বা অল্প পরিমান পরিশ্রম করা
- চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া
- ওজন স্বাভাবিক অনুযায়ী রাখা
- স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী ঘুমানো
- এলকোহল ও কোমলীয় পানি না খাওয়া
চিকিৎসা:
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে।
মাসে কমপক্ষে ১ বার শারীরিক চেকাপ করতে হবে এবং ডাক্তারের দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
0 Comments