ক্যান্সার রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

 ক্যান্সার রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার 

ক্যান্সারের অনেক লক্ষণ আছে আমরা নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যায়। অথচ প্রাথমিক অবস্থায়  ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। একেবারে প্রাথমিক দিকে শনাক্ত করা গেলে সব ক্যান্সারই মোটামোটি সারিয়ে তোলা অনেকটা সম্ভব। যদি অনেক সময় পরে ধরা পড়ে, তখন ক্যান্সার  আর সারানো অনেকটাই সম্ভব হয় না। লক্ষণগুলোর ব্যাপারে আমরা  সবাই যদি একটু সচেতন হয় ,তাহলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া সম্ভব । অনেক সময় আমরা অনেক সুস্থ মানুষকে দেখি যে তাদের হটাৎ ক্যান্সার হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগেও তারা সুস্থ ছিল ,তবে তাদের দেহের মধ্যে কিচু লক্ষণ  ছিল যা তারা কখনো খেয়াল করেনি। তাই আমাদের নিজেদের সাস্থ নিয়ে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো নিয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 





ক্যান্সার এর লক্ষণ 

দীর্ঘস্থায়ী কাশি 

হটাৎ ওজন কমে যাওয়া 

ঘন ঘন জ্বর হওয়া 

রক্তক্ষরণ 

খাবার খেতে সমস্যা 

ক্লান্তি বোধ করা 

শরীরের যে কোনো জায়গায় ফুলে যাওয়া 

ত্বকের পরিবর্তন 

মলত্যাগে পরিবর্তন আসা 

ক্ষত ভালো হয় না 

দীর্ঘস্থায়ী কাশি 

আপনার যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি হয় ,যা কোনো ঔষধ খেয়ে সুস্থ হচ্ছেন না। কাশির সাথে যদি আপনার বুকে বা গলায় ব্যথা করে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারন এটা ক্যান্সারের একটি লক্ষণ 

হটাৎ ওজন কমে যাওয়া 

হটাৎ শরীরের ওজন কমে যাওয়াটা খুবই খারাপ একটা দিক ,যা আমরা অনেকেই তা কখনো লক্ষ করি না। যদিও বা লক্ষ করি কিন্তু তাতে কেন পদক্ষেপ নেয় না আমরা। কিন্তু এটাও ক্যান্সারের একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ,সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

ঘন ঘন জ্বর হওয়া 

আমরা অনেকেই জ্বর কে এতটাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করি যে ,এটা কোনো রোগের মধ্যেই পরে না। কিন্তু ঘন ঘন জ্বর হওয়াটা এতটাই খারাপ যা শুনলে অনেকেই আমরা আতংকিত হয়ে যাবো। কারন ঘন ঘন জ্বর হওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই ঘন ঘন জ্বরে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে  হবে এবং কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে।  

রক্তক্ষরণ 

যদি কাশির সাথে গলা বা নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, এটা ক্যান্সারের অনেক বড় একটা লক্ষণ। আবার মলদ্বার দিয়েও রক্ত বের হতে পারে। তাহলে এক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
খাবার খেতে সমস্যা 

খাবার গ্রহণে যদি গলা ব্যথা বা বদহজম হয় ,তাহলে পেট বা খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন এ বিষয়গুলোকে অবশই গুরুত্ব দিতে হবে। কারন অবহেলা করলেই তা বড় আকার ধারণ করবে। তাই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

ক্লান্তি বোধ করা 

অনেক বেশি ক্লান্তি বা অস্বস্তিকর অনুভব করাটাও একটা ক্যান্সারের একটা লক্ষণ। এটা সাধারণত ব্লাড বা মলাশয় ক্যান্সারের গ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এসব উপসর্গ দিলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারন আমরা অনেকেই জানি যে ,প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে ক্যান্সার ভালো হয়। 

শরীরের যে কোনো জায়গায় ফুলে যাওয়া 

শরীরের যে কোনো অঙ্গ হটাৎ ফুলে যাওয়াটা  অনেকটাই আতংকের ,ঠিক তখনি আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা অনেক বেশী জরুরি। কারন আমরা অনেকেই জানি না যে ,এটাও ক্যান্সারের অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। 

ত্বকের পরিবর্তন 

আমরা সকলেই ত্বকের যত্নে অনেক দায়িত্বশীল। কারন সবাই নিজেকে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে চাই। কিন্তু হটাৎ করেই আমরা আমাদের ত্বকের কিছু বিকৃতি দেখতে পাই ,যা আমরা কখনো আশা করি না। কিন্তু এটা যে ক্যান্সারের একটা লক্ষণ তা আমরা অনেকেই জানি না।  

মলত্যাগে পরিবর্তন আসা 

অনেক সময় মল ত্যাগে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে,যেমন কোষ্ঠিকঠিন বা ডায়রিয়া যদি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে থাকে। তাহলেতা আমাদের জন্য অনেকটা চিন্তার বিষয়। তাই এ বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।  

ক্ষত ভালো হয় না 

আমাদের দেহে যদি কোনো ক্ষত সৃষ্টি হয় বা ভুলবশত কেটে গেলে তা মোটামোটি ৭,৮ দিনের মধ্যে একটু সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু কেন ক্রোম এ তা যদি ঠিক না হয় বা ঔষদের দরকার হয়। তাহলে তা আমাদের জন্য অনেকটাই দুঃখ্যের বিষয় ,কারন এটাও একটা ক্যান্সারের লক্ষণ। 

ক্যান্সারের এর প্রতিকার  

কেমোথেরাপি 
রেডিওথেরাপি 
হরমোন থেরাপি 
অন্নান্য চিকিৎসা 

Post a Comment

0 Comments