বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ১০ টি খাবারের তালিকা
বাংলাদেশে অনেক প্রকার খাবার আছে তার মধ্যে কিছু খাবার উল্লেখযোগ্য। যদিও এদেশের মানুষ অনেক বেশি খাবার প্রিয়। আমাদের এই ছোট দেশে এক এক জায়গায় এক এক ধরণের খাবার অনেক বেশি জনপ্রিয়। এসবের মধ্যে কিছু খাবার অনেক ব্যায়বহুল ,আবার কিছু খাবার অনেক সহজলভ্য। তাই আজ আমরা আমাদের দেশের জনপ্রিয় ১০ টি খাবার নিয়ে আলোচনা করবো।
খাবারের তালিকা :
- মাছ ও ভাত
- কালাভুনা
- চুইঝাল
- ভুনা খিচুড়ি
- মেজবান
- পায়েস
- দই
- বিরিয়ানি
- কাবাব
- রস মালাই
মাছ ও ভাত
বাংলাদেশের লোকদের বলা হয় বাঙালি ,আর বাঙালির সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খাবার হলো মাছ ও ভাত। কারন এটা আমাদের দেশের প্রধান খাবার। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাছ ও ভাত থাকেই। আর এটা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আমরা প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বার ভাত খেয়ে থাকি। যদিও পাশাপাশি অন্যান্য কিছু খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু ভাত আমাদের প্রতিদিন থাকবেই।
কালাভুনা
কালাভুনা একটি মাংসের রেসিপি যা অনেক বেশি সুস্বাদু। বিশেষ করে গরুর মাংসের কালাভূনার জন্য আমাদের দেশের চট্রগ্রাম বিভাগ অনেক জনপ্রিয়। কালাভুনা করার জন্য একটু বেশি পরিশ্রম ও মসলার দরকার হয় ,যা অন্যান্য রান্নার তুলনায় একটু বেশি। আমরা সাধরণত কালাভুনা খিচুড়ি বা ভাতের সাথে খেয়ে থাকি। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে এ খাবার গুলো বেশি প্রচলিত ,গ্রামের তুলনায়। কারন কালাভুনা একটি ব্যায়বহুল ও ঐতিহ্য বাহি
খাবার।
চুইঝাল
বাংলাদেশে চুইঝাল খাবারের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হলো খুলনা বিভাগ। কারন চুইঝাল মানেই খুলনার খাবার ,এ খাবারের বিশেষ উপাদান হলো ছুঁই গাছের কান্ড ,যা অন্যান্য মসলার তুলনায় একদম ভিন্ন। আর এই চুইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংসের ঝোল একটু আঠালো ও অনেকটা ঝাল ঝাল ভাব। চুইঝাল মসলা সবজায়গায় পাওয়া যায় না ,এটা মূলত খুলনা বিভাগে হয়ে থাকে। অপরদিকে ইহা একটি ব্যায়বহুল খাবার কিন্তু অনেক সুস্বাদু একটি খাবার।
ভুনা খিচুড়ি
ভুনা খিচুড়ি আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। যদিও আমরা তা প্রতিনিয়ত খাই না। আমরা হয়তো মাসে দুই একবার খেয়ে থাকি। ভুনা খিচুড়ির মূলত আমরা ডাল বা মাংস দিয়ে রান্না করে থাকি। যদিও এর সাথে অন্যান্য অনেক মসলার দরকার হয়। আবার অনেকেই ভুনা খিচুড়ি ইলিশ মাছ দিয়ে খেয়ে থাকে ,আবার অনেকেই গরু বা খাসির মাংস দিয়ে খেতে পছন্দ করে। তাই আমরা বলতে পারি যে, ভুনা খিচুড়ি একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার।
মেজবান
মেজবান হলো গরুর মাংসের একটি রেসিপি। এটা আমাদের দেশের চট্রগ্রামের মানুষের একটা জনপ্রিয় খাবার। মেজবানি রান্নাটা একদম ভিন্ন প্রকৃতির এটা সাধারণ রান্নার মত না। কারন এসব রান্নায় অনেক ধরণের মসলা ব্যবহার করা হয় ,যা অনেকেই জানে না। আর বর্তমান সময়ে গরুর মাংস অনেক ব্যয়বহুল ,যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। তারপরও এই মেজবানি খাবারটা আমাদের দেশে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
পায়েস
পায়েস হলো আমাদের দেশের একটি মিষ্টি জাতীয় সুস্বাদু খাবার। পায়েস খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। পায়েস এর উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন হলো সমজাতীয় চাল,দুধ ,চিনি বা ঘুড় এবং কিচু পরিমান কিসমিস ,কাজু বাদাম ,পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। সাধারণত শীতকালে এ খাবারটি বেশি পরিমানে খেয়ে থাকে।
দই
দই একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য। কারন ইহা একটি প্রাকৃতিক উপাদাদান দ্বারা তৈরী হয়। দই এমন একটি খাবার যা ছোট ,বড় সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। দই সর্বোপুরি সবজায়গায় পাওয়া যায় ,কিন্তু ভাল মানের দই বলতে আমরা বগুড়ার দই কে বলে থাকি। আমরা বিভিন্ন ধরণের ছোট ,বড় সকল অনুষ্ঠানে দই খেয়ে থাকি। দই সাধারণত আমরা গরম কালে একটু বেশি খেয়ে থাকি।
বিরিয়ানি
বিরিয়ানি আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার। যদিও গ্রামের মানুষের তুলনায় শহরে বিরিয়ানি একটু বেশি জনপ্রিয়। বিরিয়ানির জন্য সাধারণত মাংস ,পোলার চাল ও অনেক প্রকার মসলা লাগে। ইহা একটি মসলা জাতীয় ও তৈলাক্ত খাবার। তাই যারা ডায়েট মেনটেইন করে তারা অনেকেই আবার এই খাবারটি এড়িয়ে চলে। আবার অনেকেই বিরিয়ানির সুসাদুর জন্য সবকিছু ভুলে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়েই থাকে। তাই আমরা বলতে পারি যে বিরিয়ানি একটি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার।
কাবাব
কাবাব একটি বহুল পরিচিত খাবার ,যা প্রাচীন কাল থেকে মানুষের কাছে অনেক বেশি জীবিকা নির্বাহের একটি খাবার। প্রাচীনকালে মানুষের খাবারের তেমন উৎস ছিল না। তখন মানুষের খাবার হিসেবে একটাই খাবার বেশি ছিল র তা হলো বিভিন্ন ধরণের পশুর মাংস পুড়িয়ে কাবাব করে খাওয়া। তাই আমরা বলতে পারি যে প্রাচীন কাল থেকেই কাবাব অনেক বেশি জনপ্রিয়।
রস মালাই
রসমালাই একটি মিষ্টি জাতীয় সুস্বাদু খাবার। রসমালাই তৈরিতে মূলত দুধের ছানা,ময়দা ও চিনি ব্যবহার হয়। রসমালাই সবধরণের লোকেরই অনেক পছন্দের একটি খাবার।
0 Comments