ইফতারের জন্য ১০ টি পুষ্টিকর গুরুত্বপূর্ণ খাবার

 ইফতারের জন্য ১০ টি পুষ্টিকর গুরুত্বপূর্ণ খাবার 

ইফতারের জন্য পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,কারন দীর্ঘসময় অনাহারে থাকার পর আমাদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অন্যদিকে আমাদের কিছু  বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে ,ইফতারে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তার মধ্যে হলো : কোমলীও পানি , অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার এবং অধিক গরম খাবার এগুলো আমাদের সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। তাই আমরা সর্বোপুরি চেষ্টা করবো ইফতারের জন্য কিছু ফল ও অন্যান্য কিছু পুষ্টিকর খাবার দিয়ে। সেগুলো নিয়ে আমরা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 



ইফতারের জন্য যেসব খাবার :

                • খেঁজুর 
                • পানি 
                • ডালিম 
                • কলা 
                • ছোলা
                • কমলা  
                • কাবাব 
খেঁজুর 
খেজুর হলো পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি খাবার। আর ইফতারের মধ্যে তো খেজুর রাখতেই হবে। কারন ইফতারের শুরুটায় হয় খেজুর দিয়ে। আর খেজুর এর  মধ্যে অনেকবেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বিদ্যমান থাকে যা আমাদের দেহের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। তাছাড়া খেজুর একটি সুন্নাতী খাবার ,আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)  খেজুর অনেক বেশি পছন্দ   করতেন।  তাই আমরা ইফতারে অবশ্যই খেজুর খাবো। 

পানি 
পানি ও ইফতারের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। কারন সারাদিন রোজা রেখে আমরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করি যে জিনিসটার জন্য তা হলো পানি। রোজা রাখা অবস্থায় প্রত্যেক মানুষ সাধরণত পানি টা  কে বেশি মিস করি। কারন আমরা প্রত্যেকদিন পানি পান করে থাকি অনেক বেশি, যা খাবার খাওয়ার তুলনায় কয়েকগুন বেশি। এ জন্যই পানির জন্য একটু বেশি কষ্ট অনুভূত হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা সর্বোপুরি বলতে পারি যে ,পানিও ইফতারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

ডালিম 
ডালিম হলো একটি পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। যা আমাদের দেশে খুবই দুর্লভ। ডালিম এর শরবত অনেক বেশি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আমাদের দেশে বর্তমান বাজারে ডালিম এর মূল্য এত বেশি যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। অপরদিকে আরব দেশ গুলোতে তা খুবই সহজলভ্যঃ। এছাড়া ডালিম একটি সুন্নাতী ফল। তাই আমরা ইফতারে অবশ্যই ডালিম রাখতে চেষ্টা করবো।

কলা 
কলা ও একটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল। যা আমাদের দেশের ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়া কলা আমাদের দেহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আমরা ইফতারে কলা একটু বেশি পরিমানে খাবো। এর ইহা আমাদের দেশে অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেকবেশি সহজলভ্য। 

ছোলা 
ছোলা তেও রয়েছে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম ও পুষ্টি। পুষ্টি। আমরা সাধারণত রমজান মাসে একটু বেশি পরিমান ছোলা খেয়ে থাকি অন্যান্য মাসের তুলনায়। কিন্তু এই ছোলা এআমাদের প্রতিদিন খোয়া উচিত ,কারন সকালবেলা খালি পেটে ভিজানো কাঁচা ছোলা খেলে হজম শক্তি বৃদ্দি পায়। তাই ইফতারে আমরা পরিমানমত সিদ্ধ ছোলা খাবো। 

কমলা 
কমলা একটি সুস্বাদু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। আমাদের দেহের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ এর জন্য আমরা যে ফল টি বেশি পরিমানে খেয়ে থাকি তা হলো কমলা। তাই আমরা ইফতারে কমলা রাখতে চেষ্টা করবো 

কাবাব 
কাবাব হলো ইফতারের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার। ফলমূল এর শেষে ইফতারে কাবাব থাকাটা জরুরি ,কারন শেষে একটু ঝালমুখ না হলে কি হয়। কাবাব এমন একটি খাবার যা পৃথিবীর সবদেশেই অনেক বেশি জনপ্রিয়। যদিও খাবার টি একটু বেশি ব্যায়বহুল ,তারপরও সবার কাছে অনেক বেশি পছন্দনীয়। কাবাব আমাদের দেহের আমিষের ঘাটতি পূরণ করে। তাই ইফতারে কাবাবের ভূমিকা অনেক বেশি।  

Post a Comment

0 Comments