কিডনি ভালো রাখার জন্য ১০ টি খাদ্য
কিডনি আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা আমাদের রক্ত থেকে বাড়তি পানি ও জীবাণু বের করে দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই গুরুত্তপূর্ণ অঙ্গটিকে সুস্থ রাখতে নিয়ম মেনে খেতে হবে।আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে আমরা যে ১০টি খাবার এর অভ্যাস করব। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের দেহের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকে সুস্থ রাখার বিষয়ে আমরা অনেক বেশি উদাসীন। কিডনির বিষয়ে সচেতন না হলে দেহের ভয়াবহ অবক্ষয়সক্ষতিপূর্ণ্য চিকিৎসার জন্য অনেক বেশি খরচ হতে পারে ।
1 পানি
কিডনি হলো দেহের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর সেটিকে ভালো রাখতে পানির ভূমিকা অপরিসীম। কারন কিডনি আমাদের দেহের রক্ত গুলো ছাঁকন করে থাকে এবং রক্তের মধ্যে কোনো দূষিত পদার্থ থাকলে তা বের করে দেয়। তাই আমাদের প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করা দরকার। তাই আমরা সর্বোপুরি বলতে পারি কিডনি ভালো রাখতে পানির ভূমিকা অপরিসীম।
2 ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম এ থাকে অনেক বেশি আন্টিঅক্সসিডেন্ট। ভিটামিন সি থাকে ক্যাপসিকাম। যা কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই আমরা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাবো কিডনি ভালো রাখার জন্য।
3 পেঁয়াজ
আমরা জানি যে ,পটাশিয়ামের পরিমাণ কম ছাড়াও পিয়াজে রয়েছে ক্রোমিয়াম, যা আমাদের দেহের চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটকে বিপাক করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কিডনিকে পরিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালাতে পেঁয়াজ অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই পিয়াজ আমাদের কিডনির কিডনির জন্য অনেক উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম পিয়াজে ক্যালরি ৬৫, প্রোটিন ৩গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম পরিমাণ থাকে
4 বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে সোডিয়ামের পরিমান অনেক কম থাকে। যা আমাদের কিডনির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে । বাঁধাকপি তে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন এবং যৌগ উপাদান যা ,আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
5 ফুলকপি
আমরা জানি যে , ফুলকপিতে ভিটামিন সি, এবং ফাইবার উচ্চ মাত্রায় অনেক বেশি থাকে। এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে নিম্ন মাত্রায় সোডিয়াম, আয়রন ,পটাসিয়াম এবং ফসফরাস ও খনিজ থাকে। যার ফলে আমাদের কিডনির উপর চাপ কম পড়ে এবং কিডনি সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।
6 রসুন
পেঁয়াজের মতো রসুনও অনেক উপকারী কিডনির জন্য । তাছাড়া এটি আমাদের খাবারের স্বাদও পুষ্টি বাড়ায়। প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে ক্যালরি রয়েছে ২০০, প্রোটিনের পরিমাণ ৭গ্রাম, ফ্যাট ২গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৪৪গ্রাম। রসুনের রস ও মেটাফরমিন (টাইপ-১ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দেশিত ঔষধ) একসাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস মোকাবেলায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।
7 মাছ
আমাদের খাবারের তালিকায় প্রথম শ্রেণীতে রোয়েসে মাছ। মাছে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন । মাছে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়া আমরা জানি যে ,মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরে জ্বালাপোড়া কমাতে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের কিডনি অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে । এজন্যআমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যে কোন প্রকার মাছ রাখা প্রয়োজন । প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ক্যালরির পরিমাণ ১৭৬, প্রোটিনের পরিমাণ ১৮গ্রাম, উপকারী ফ্যাট ১২গ্রাম থাকে।
8 ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল
কিডনি ভালো রাখার জন্য আমরা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে অনেক বেশি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারি । কমলা,আমলকি, লেবুতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে । আমরা জানি যে ,প্রতিদিন লেবুর রস খাওয়া হলে কিডনিতে পাথর গঠনের হার অনেকটা হ্রাস পায়।
9 শাকসবজি
শাকসবজি তে রয়েছে অনেক বেশি খনিজ। যা আমাদের দেহের বিভিন্ন প্রকার পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। আমরা জানি যে ,কিডনি রোগের জন্য শাকসবজি অনেক উপকারী,কারন যে সব পুষ্টির জন্য কিডনির সমস্যা দেখা যায় তা শাকসবজির মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
10 লেবুর শরবত
ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক লেবুর শরবতে থাকা ,আমাদের অভ্যন্তরীণ পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।আমাদের দেহের কিডনির সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা রয়েছে এতে। এজন্য আমাদের নিয়মিত সকালে বা দুপুরে খাওয়ার আগে লেবুর শরবত পান করা অনেক উপকারী ।
0 Comments