শরীরের ওজন কমানোর ১০ টি উপায় এবং সুবিধা সমূহ
ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে অনেক কিছুই করে থাকি আমরা । আমাদের জন্য হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক ব্যায়াম করা অবশ্যই জরুরী। তবে এর পাশাপাশি আমাদের খাওয়-দাওয়া কন্ট্রোল করার বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোল করার কথা বলতে গেলে সাধারণত আমরা অনেকেই প্রচুর ডায়েটকে বুঝে থাকেন বা খাওয়া-দাওয়া একেবারেই অনেকে একদম বন্ধ করে দেন। আসলে ক্রাশ ডায়েট বা খাওয়া-দাওয়া একদম বন্ধ করে দিলে তা লাভ এর চেয়ে ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি করে। কেননা আমরা যদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেই যেমন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন, তেমনি আপনার স্বাস্থ্যও অনেক ভেঙ্গে পড়বে। এছাড়া না খোয়ার কারণে আলসার ও গ্যাস্ট্রিক এর মত আরও জটিল সমস্যাও হতে পারে। এজন্য আমরা যদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে এর পরিবর্তে যদি আমরা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারি , তাহলে আমরা সহজেই আমাদের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবো । এ লেখায় আমাদের ওজন কমানোর জন্য ১০টি টিপস দেওয়া হলো
১ ভাত বা শর্করা জাতীয় জাতীয় খাদ্য না খাওয়া
ভাত, রুটি ও অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবার থেকে আপনাকে সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। কারন দুপুরে খুব অল্প পরিমান ভাত খেতে হবে। আর রাতে আপনাকে ভাতের পরিবর্তে হাত রুটি খেতে হবে। ভাতে রোয়েসে অনেক বেশি ফ্যাট যা আপনার দেহকে অনেক বেশি ওজনে পরিনিত করে আর যদিও রাতে হালকা ভ্যাট খেতে চান তাহলে মিনিমাম ঘুমানোর ২ঘন্টা আগে আপনাকে ভ্যাট খেয়ে নিতে হবে। কারন ভাত খেয়ে শটে শটে ঘুমালে ভাতের যে ফ্যাট আচে তা আপনার বডি তে সবটুকু ইফেক্ট করে।
২ লেবু
ওজন কমানোর জন্য লেবুর গুরুত্ব অনেক বেশি। কারন আমরা যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি দিয়ে তার সাথে কয়েক চামুচ মধু মিশ্রিত করে খেতে পারি। তাহলে তা আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী হবে।
মাঝে মাঝে আমরা কোক,স্পিড ও অন্নান্য সফট ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকি যাতে অনেক বেশি ফ্যাট থাকে। কিন্তু আমরা এসব সফ্ট ড্রিঙ্কস খোয়ার সময় যদি সফ্ট ড্রিঙ্কস এ কিছু পরিমান লেবুর রস দেওয়া যায় তাহলে সফ্ট ড্রিঙ্কস আর ফ্যাট অনেকটা কেটে যায়। তাই আমরা বলতে পারি যে ওজন কমানোর জন্য লেবু অনেক বেশি কাজ করে।
৩ সালাত
সালাত এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনার অতিরিক্ত ফ্যাট। এজন্য সালাত বানানোর সময় ব্যবহার আপনাকে শশা,লেবু ,টক দই ও ভিনেগার। এগুলো আপনার শরীরের ফ্যাট কাটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়া আপন ই সবজি হিসেবে গাজর ,টমেটো নিতে পারেন। তবে শশা প্রচুর ফ্যাট কাটাতে সাহায্য করে তাই আপনি শশা একটু বেশি খেতে পারেন।
৪ গ্রীন টি
গ্রীন টি ও ফ্যাট কাটাতে অনেক বেশি কাজ করে। তাই আপনি ২ বার করে হলেও প্রতিদিন গ্রীন টি খেতে পারেন। ২ বার গ্রীন টি পান করাতে আপনার শরীরের ২৫০ গ্রাম ক্যালোরি কমিয়ে আন্তে পারে।
৫ টক দই
টক দই ফ্যাট কাটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তবে টক দই খালি পেটে না খেয়ে ভরা পেটে খেতে হবে।
৬ ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফি ও গ্রীন টি এর মত ফ্যাট কাটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ১ কাপ গরম পানিতে আধা চামুচ কফি দিয়ে খেতে পারেন।
৭ পানি
শরীরের ওজন কমানোর জন্য পানিও অনেক বেশি কাজ করে। নিয়মিত পানি না খাওয়ার কারনে শরীরের তারতম্য ঠিক থাকে না
৮ চুইংগাম
যাদের মুখের আকৃতি গোল ও ডাবল চীন রয়েছে ,তারা নিয়মিত চুইংগাম চিবাতে পারেন। এর ফলে মুখের অবাঞ্চিত চর্বি কমে যাবে। কারন অনেক খন চিবানোর কারনে মুখের মাংসপেস গুলো অনেক এক্সারসাইজ হয়।
৯ অ্যালোভেরা
ফ্যাট কাটার জন্য আপনারা এলোভেরার নির্যাস পানির সাথে মিশ্রিত করে খেতে পারেন। যদিও ইহা অনেক তিতে ,তাহলে তাতে পানি মিশ্রিত করে খেতে পারেন। তারপরও যদি খেতে মন না চাই তাহলে কিচু মধু মিশ্রিত করে খেতে পারেন ,কিন্তু খখনো চিনি ব্যবহার করা যাবে না।
১০ ফল ও শাক সবজি
কাঁঠাল ও কলা বাদে যে কেন বেশি করে খান। কারন আমাদের দেহের জন যে সব পুষ্টি উপাদান দরকার তা ফল ও শাক সবজিতে আছে। ফল ও শাক সবজিতে ক্যালোরি অনেক কম ,এগুলো খেলে খিদাও লাগে কম। যাদের অতিরিক্ত ওজন আচে তারা কাঁঠাল ও কলা একদম খাবেন না ,কারন এগুলো অতিরিক্ত পরিমানে শরীরের ওজন বাড়ায়।
0 Comments